ডা. আজাদ খান, ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান: বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ফার্ম মেশিনারী এন্ড পোস্টহারভেস্ট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এর অধীনে “কৃষি যন্ত্রপাতি ও লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন ব্যবস্থাকে অধিকতর লাভজনক করা “শীর্ষক প্রকল্পের অর্থায়নে বারি উদ্ভাবিত কৃষি যন্ত্রপাতির পরিচালনা, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের উপর কৃষক, যন্ত্রচালক ও মেকানিকদের ২ দিনব্যাপী (৩-৪ জুন ২০২৩) প্রশিক্ষন” জামালপুর মেলান্দহ উপজেলার মানকি তে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন- ড. মোঃ  মন্জুরুল কাদির, মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, জামালপুর । 
প্রধান অতিথি ছিলেন মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ, উপসচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, ঢাকা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ড. মোহাম্মদ এরশাদুল হক, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্কমর্তা, এফএমপিই বিভাগ, বারি, গাজীপুর।
স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন, ডঃ মোহাম্মদ এরশাদুল হক।
আরো উপস্থিত ছিলেন,  প্রকৌশলী মোঃ শাহাদাত হোসাইন, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, আরএআরএস, জামালপুর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মেলান্দহের এসএপিপিও এবং উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বৃন্দ।
অনুষ্ঠানে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত ৮০ জন কৃষি যন্ত্রচালক ও মেকানিক হাতে-কলমে দিনব্যাপী বারি সিডার, বারি শস্য কর্তন যন্ত্র, বারি ভুট্টা মাড়াই যন্ত্র, বারি শস্য মাড়াই যন্ত্র, বারি ঝাড়াই যন্ত্র, বারি তেল নিষ্কাশন যন্ত্র চালানোর ও মেরামত এর উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় বলেন, কৃষির উন্নয়নের জন্য যান্ত্রিকীকরণের গুরুত্ব অপরিসীম। এজন্য বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে ৫১ ধরনের কৃষি যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন করা হয়েছে। এ বিষয়ে সরকার নিবিড় কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। ভর্তুকির মাধ্যমে অত্র জেলায় বিভিন্ন ধরনের কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে ।
সরকারের তরফ থেকে যে ১৫ ধরনের কৃষি যন্ত্রপাতির মধ্যে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে তার মধ্যে ৮ ধরনের বারি উদ্ভাবিত কৃষি যন্ত্রপাতিও ভর্তুকির মাধ্যমে সরবরাহ করা হচ্ছে।
যে সমস্ত কৃষক এই যন্ত্রগুলো পাচ্ছে তাদেরকে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তোলার এ কার্যক্রমটি খুবই কার্যকর বলে উল্লেখ করেন।
বারি উদ্ভাবিত কৃষি যন্ত্রপাতির প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ চালক ও মেকানিক তৈরি করার কার্যক্রম চলমান আছে। সারা দেশের দশটি জেলার বিশটি উপজেলায় এফএমডিপি প্রকল্পের কার্যক্রম চলছে।
তিনি কৃষি মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কাজে সকলের অংশগ্রহণ কামনা করেন। কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত প্রযুক্তি সম্প্রসারণে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন। সকলের অংশগ্রহণে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন।
সভাপতি ডঃ মোঃ মনজুরুল কাদির তার বক্তৃতায় বলেন, বারি সিডার যন্ত্র দ্বারা বীজ বপন করে অত্র অঞ্চলের কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।
জেলায় বারি সিডার যন্ত্রের মাধ্যমে ভুট্টা বীজ বপনের কার্যক্রম ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। এফএমডিপি প্রকল্পের মাধ্যমে এ কার্যক্রমকে আরো বেগবান করার জন্য কৃষকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ এর ভুয়সি প্রশংসা করেন।
সরিষা থেকে তেল ভাঙ্গানোর মেশিন বারি কর্তৃক উদ্ভাবিত হয়েছে, তার ব্যবহার বৃদ্ধি করা হলে কৃষকরা সহজেই সরিষার তেল খেতে পারবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করবে। ফলে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভোজ্য তেলের উৎপাদন বৃদ্ধির কার্যক্রম সহজেই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।